অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘ভালবাসার মাসে রঙিন ভালবাসা বিপণন’শিরোনামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন এক কৃষক। শুক্রবার (১০ ফেব্রুযারি) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চত্তরে কৃষক শোভল চন্দ্র এই ফুলকপি বিক্রি করতে এসেছেন।
হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপি দেখতে প্রতিনিয়তই ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও এই ফুলকপি কিনে খেয়েছেন।
জানা গেছে, নান্দাইল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদল চন্দ্র বর্মণ। তিনি বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে দুই হাজার হলুদ ও বেগুনি রঙয়ের ফুলকপির চাষ করেছেন। ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় নান্দাইলে চলতি বছর রঙিন ফুলকপি চাষের এই উদ্যোগ নেয় উপজেলা কৃষি অফিস।
এই প্রকল্পের জন্য উপজেলায় একমাত্র চাষি বাদল চন্দ্রকে পরীক্ষামূলকভাবে ২ হাজার রঙিন ফুলকপির চারা দেওয়া হয়।
কৃষক বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে আমি প্রথমবার রঙিন ফুলকপির চাষ করেছি। খরচের তুলনায় তিনগুণ বেশি লাভের আশা করছি। ফলনও ভাল হয়েছে।
তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করার ইচ্ছা আছে। বাজারের সাদা রঙের কপির থেকে এর চাহিদা অনেকটাই বেশি। আমার ভাই শোভল চন্দ্র উপজেলা পরিষদের সামনে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এই ফুলকপি বিক্রি করেন।
তিনি বলেন, আমার এই রঙিন ফুলকপি স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও থেকে শুরু করে নান্দাইলের সরকারি কর্মকর্তারা কিনে খেয়েছেন।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, অর্গানিক পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। এজন্য আমরা এ বছর প্রথম কৃষক বাদল চন্দ্রের জমিতে ২ হাজার রঙ্গিন ফুলকপির চারার ব্যবস্থা করেছি। এই সবজিতে অনেক বেশি ভিটামিনের উপাদান থাকে। আশা করছি, আগামী বছর রঙিন ফুলকপি চাষীর সংখ্যা বাড়বে।
Leave a Reply